Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা
 এক নজরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাধারণ তথ্যাবলী

 

০১।

আয়তন ঃ

 

৩৮৯.৪২ বর্গ কিঃ মিঃ 

০২।

০৩।

০৪।

০৫।

লোকসংখ্যা

পুরষ

মহিলা

মোট ভোটার সংখ্যা

পুরুষ ভোটার সংখ্যা

মহিলা ভোটার সংখ্যাঃঃ

 

 

 

 

 

 

৩,১৯,৯৩৪ জন

১৬৪৮১০

১৫৭১২৪

১৯১০৪২

১০২১৯৯

৮৮৮৪৩

০৪।

থানা ঃ

 

০১টি

০৫।

খানাঃ

 

৬০২৯২

০৬

শিক্ষার হারঃ

 

৫৪.৫৩

০৭।

পৌরসভা ঃ

 

০১টি

০৮।

মহল্লা ঃ

 

৪৯

০৯।

মৌজাঃ

 

১২৭

১০।

ইউনিয়ন ঃ

 

২১টি

১১।

গ্রাম ঃ

 

১৯৭র্টি

১২।

ইউনিয়ন কমপ্লেক্স আছেঃ

 

০৫টি (দূর্গাপুর, চন্দ্রদিঘলীয়া, উলপুর,

গোপীনাথপুর ও লতিফপুর)

১৩।

কৃষি সংক্রান্ত -

ক) মোট জমির পরিমান

খ) আবাদী জমির পরিমান

গ) সেচকৃত জমির পরিমান ঃ

 

 

 

৪১৩৭৫.০০ হেক্টর

৩১১২০.০০ হেক্টর

১৮১৫০.০০ হেক্টর

১৪।

শিক্ষা সংক্রান্ত -

ক) বিশ্ববিদ্যালয়

খ) মেডিকেল কলেজ

গ) প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা

ঘ) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা

ঙ) মহাবিদ্যালয়ের সংখ্যা

চ) কারিগরী মহাবিদ্যালয়ের সংখ্যা

ছ) পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

জ) মাদ্রাসার সংখ্যা

ঝ) সাধারণ সাক্ষরতার হার ঃ

 

 

১টি

১টি

২১০টি (সরঃ, রেজিঃ ও কমিঃ)

৪৭টি

০৫টি

০৩টি

০২টি

০৬টি

৫৩.৬৪%

১৫।

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত -

ক) হাসপাতাল

খ) বেডের সংখ্যা

গ) উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রঃ

 

 

০২টি (জেলা সদর + গোপীনাথপুর)

২৫০ + ১০ টি

০৪টি

১৬।

যোগাযোগ ব্যবস্থা সংক্রান্ত

ক) পাকা রাস্তা

খ) আধা পাকা রাস্তা

গ) কাঁচা রাস্তা ঃ

 

 

১৪৬ কিঃ মিঃ

৫৫ কিঃ মিঃ

৬৭০ কিঃ মিঃ

১৭।

রাজস্ব সংক্রান্ত

ক) হাট বাজার

খ) আশ্রয়ণ প্রকল্প

গ) আদর্শ গ্রাম

ঘ) জলমহাল

ঙ) ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঃ

 

 

২০টি

০৫টি

১১টি

২২টি (ইজারাযোগ্য)

১১টি

১৮।

অন্যান্য

ক) বয়স্ক ভাতা গ্রহণকারীর সংখ্যা

খ) মুক্তিযোদ্ধা সম্মানীভাতা গ্রহণ

গ) বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্ত দুস্থ মহিলা     

   ভাতা

ঘ) মাতৃত্ব কালীন ভাতা গ্রহণ

ঙ) পশু হাসপাতাল

চ) পশু কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্ট

ছ) ব্যাংকের সংখ্যা

জ) অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা ঃ

 

 

 

৭১৮৫ জন ( প্রতি জন ৩০০/-হারে প্রতি মাসে)

১৭৩৫ জন ( প্রতি জন ২২০০/-হারে প্রতি মাসে)

 ২৯৮৭ জন (৩০০/- হারে প্রতি মাসে)

 

০১টি

০৩টি  (২টি স্বেচ্ছাসেবী দ্বারা পরিচালিত)

২১টি (গ্রামীণ ব্যাংক ছাড়া)

৬৭৫ জন (৩০০/- টাকা হরে প্রতি মাসে)

 

ঝ) প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি

৩৫

১ম শ্রেণী ৩০০/-

৬ষ্ঠ - ১০ম শ্রেণী ৪৫০/-

একাদশ- দ্বাদশ ৬০০/-

তৎউর্দ্ধে   ১০০০/-

           

 

মাননীয় সংসদ সদস্য        :    জনাব শেখ ফজলুল করিম সেলিম

উপজেলা চেয়ারম্যান         :    জনাব শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু

ভাইস চেয়ারম্যান            :       জনাব নিতিশ রায়

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান   :   জনাব নিরুন্নাহার

 উপজেলার অবস্থান

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলাটি ২২.৫৪′ ও ২৩.১৩′ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪০′ ও ৮৯.৫৮′ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত ।

 

 সীমানা 

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তরে-মুকসুদপুর-কাশিয়ানী উপজেলা ও নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা। পূর্বে-কোটালীপাড়া উপজেলা ও মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলা। দক্ষিণে-টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ও বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলা। পশ্চিমে-নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলা ও বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা।

 

 ঢাকার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা

সড়ক পথে রাজধানীর ঢাকা থেকে বাস যোগে দুইভাবে গোপালগঞ্জ আসা যায়। ঢাকা-পাটুরিয়া সড়কে এবং ঢাকা মাওয়া সড়কে। ঢাকা-পাটুরিয়া সড়কে গোপালগঞ্জ দুরত্ব প্রায় ২২০ কিঃমিঃ। এ পথে পদ্মার উপর পাটুরিয়া-দৌলদিয়া ফেরী পারাপার হতে হয় এবং ঢাকা মাওয়া সড়কে দুরত্ব ১২৫ কিঃমিঃ। এ পথেও পদ্মা নদীর উপর মাওয়া-কাওড়াকান্দি ফেরী রয়েছে। ১৯৮৪/৮৫ এর পূর্বে ঢাকার সাথে গোপালগঞ্জ এর যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল লঞ্চ সার্ভিস। আশির দশকে সড়ক ব্যবস্থার প্রভূত উন্নতি হওয়ায় দুরপাল্লার বাস সার্ভিস চালু হয়। খুলনার সাথে সড়ক ও নদী পথে যোগাযোগ রয়েছে।

 

 উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও পৌরসভার নাম এবং আয়তন

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় নিম্নবর্ণিত ২১টি ইউনিয়ন পরিষদসহ একটি ১ম শ্রেণীর পৌরসভা আছে। এখানে মোট ১৯৭ টি গ্রাম আছে।

 

ইউনিয়নের নাম

আয়তন (একরে)

ইউনিয়নের নাম

আয়তন  (একরে)

০১ নং জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ

৩৯৩৯

১২ নং উলপুর ইউনিয়ন পরিষদ

৪৭৮৯

০২ নং বৌলতলী ইউনিয়ন পরিষদ

৪২১০

১৩ নং নিজড়া ইউনিয়ন পরিষদ

৪৮২৭

০৩ নং শুকতাইল ইউনিয়ন পরিষদ

৫১৭৬

১৪ নং করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ

৬৯২১

০৪ নং চন্দ্রদিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ

২৭১৪

১৫ নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ

৪৬০২

০৫ নং গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ

৪০৬৬

১৬ নং কাজুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ

৮৪৭৩

০৬ নং পাইককান্দি ইউনিয়ন পরিষদ

৩৮০৮

১৭ নং কাঠি ইউনিয়ন পরিষদ

৪৫৮৬

০৭ নং উরফী ইউনিয়ন পরিষদ

২৯৪৭

১৮ নং মাঝিগাতী ইউনিয়ন পরিষদ

২৬৬২

০৮ নং লতিফপুর ইউনিয়ন পরিষদ

৩২৪২

১৯ নং রঘনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ

৫৭৯৭

০৯ নং সাতপাড় ইউনিয়ন পরিষদ

৭৬৯৬

২০ নং গোবরা ইউনিয়ন পরিষদ

৪৪৬৫

১০ নং সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদ

৪৪৭৯

২১ নং বোড়াশী ইউনিয়ন পরিষদ

১৩৭৬

১১ নং হরিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ

৩২৩২

 

 

 

 উপজেলা সদর হতে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং দুরত্ব

 

উপজেলা সদর থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নের যোগাযোগের ব্যবস্থা হলো বেশীর ভাগ পাকা সড়ক। সদর উপজেলার সাথে গোপালগঞ্জপৌরসভাসহ ২১টি ইউনিয়ন পরিষদের পাকা রাস্তার যোগাযোগ রয়েছে।

 

ক্রমিক নং

ইউনিয়নের নাম

সদর উপজেলা পরিষদ হতে দুরত্ব

পাকা

কাঁচা

মন্তব্য

০১

জালালাবাদ

১২ কি: মি:

১২ কি: মি:

-

 

০২

বৌলতলী

১৫ কি: মি:

১৫ কি: মি:

-

 

০৩

শুকতাইল

১০ কি: মি:

১০ কি: মি:

-

 

০৪

চন্দ্রদিঘলিয়া

০৮ কি: মি:

০৮ কি: মি:

-

 

০৫

গোপীনাথপুর

১২ কি: মি:

১২ কি: মি:

-

 

০৬

পাইককান্দি

১০ কি: মি:

১০ কি: মি:

-

 

০৭

উরফী

০৫ কি: মি:

০৫ কি: মি:

-

 

০৮

লতিফপুর

০২ কি: মি:

০২ কি: মি:

-

 

০৯

সাতপাড়

১৮ কি: মি:

১৮ কি: মি:

-

 

১০

সাহাপুর

১৬ কি: মি:

১৬ কি: মি:

-

 

১১

হরিদাসপুর

০৫ কি: মি:

০৫ কি: মি:

-

 

১২

উলপুর

০৮ কি: মি:

০৮ কি: মি:

-

 

১৩

নিজড়া

১০ কি: মি:

১০ কি: মি:

-

 

১৪

করপাড়া

১৫ কি: মি:

১৫ কি: মি:

-

 

১৫

দুর্গাপুর

০৬ কি: মি:

০৬ কি: মি:

-

 

১৬

কাজুলিয়া

১৩ কি: মি:

১৩ কি: মি:

-

 

১৭

কাঠি

১০ কি: মি:

১০ কি: মি:

-

 

১৮

মাঝিগাতী

০৮ কি: মি:

০৮ কি: মি:

-

 

১৯

রঘনাথপুর

০৫ কি: মি:

০৫ কি: মি:

-

 

২০

গোবরা

০২ কি: মি:

০২ কি: মি:

-

 

২১

বোড়াশী

০৪ কি: মি:

০৪ কি: মি:

-

 

২২

পৌরসভা

০১ কি: মি:

০১ কি: মি:

-

 

 

 প্রধান নদ নদী

মধুমতি নদী

এ জেলার প্রধান কয়েকটি নদী হলো মধুমতি, ঘাঘর, কুমার, বারাসিয়া এবং বিলরুট ক্যানেল বা কাটা মধুমতি। মধুমতি নদীর তীরেই গোপালগঞ্জ শহর। পদ্মার একটি প্রধান শাখা নদী মাগুড়া জেলার মোহাম্মদপুর পর্যন্ত গড়াই নামে প্রবাহিত হয়েছে। এখান  হতে নদীর নাম মধুমতি। আরো এগিয়ে গিয়ে কচুয়ার কাছে এ নদীর নাম হয় বলেশ্বর। বৃহত্তর ফরিদপুর, বরিশাল, খুলনা ও যশোর  জেলার সীমানা চিহ্ন আকতে আকতে কত না বিচিত্র বাহারি সব গঞ্জ, বন্দর, নগর, জনপদে প্রাণের স্পর্শ বুলিয়ে প্রবাহিত এ নদী। এক সময় বড় বড় লঞ্চ, স্টিমার, শীপ, কার্গোসহ বিভিন্ন জাহাজের চলাচলে মুখরিত ছিল এ নদী। তবে ফারাক্কা বাধেঁর বিরুপ প্রভাবে  এক সময়ের প্রমত্তা নদী মধুমতি হারিয়েছে তার যৌবনের লাবন্য। প্রশস্ততার সাথে সাথে গভীরতা হারিয়ে জায়গা বিশেষে ক্ষীণতায় হয়ে খালের মত হয়েছে।

 

বিলরুট ক্যানেল বা কাটা মধুমতি

নদীপথ কমিয়ে এনে এ অঞ্চলের বাণিজ্যিক ব্যবস্থায় গতি সঞ্চার এবং বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পরিবহনের সুবিধার জন্য মধুমতির মানিকদহ বন্দরের নিকট থেকে উত্তর এবং উত্তর পুর্বদিক বরাবর উরফি, ভেড়ারহাট, উলপুর, বৌলতলী, সাতপাড়, টেকেরহাট হয়ে উতরাইল বন্দরের কাছাকাছি পর্যন্ত প্রায় ৬০/৬৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ ক্যানেলটি খনন করা হয়। ১৮৯৯-১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দ সময়কাল এই খালটি কাটা হয়। খালটি ৪০০ ফূট প্রশস্থ এবং ৩০ ফূট গভীর। তৎকালীন সময় খালটি খননের জন্য ব্যয় হয় ৩৩,৬৬,৮৭৬ টাকা। এ খাল খননেন ফলে নদীপথে ঢাকা খুলনার দুরত্ব ১৫০ মাইল কমে যায় এবং বঙ্গোপসাগর হয়ে আসা পণ্য সহজেই কলকাতা বন্দরে পাঠানো যায়। এটি বঙ্গের সুয়েজ খাল নামে পরিচিত। ইংরেজ আমলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণ কাজের সাথে এ কাজটিকে তুলনা করা হতো। প্রথমদিকে ক্যানেলটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপর ছিল। পরে ১৯৬৩ সালে মাদারীপুর বিল রুটের দায়িত্বভার বাংলাদেশ  অভ্যন্তরীণ নৌ -পরিবহন সংস্থার নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে এই বিলরুটের সংরক্ষণ ও মেরামতের দায়িত্ব বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। মাদারীপুর বিলরুট একটি ব্যস্ত জলপথ। খুলনা হতে চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা যাওয়ার একটি সংক্ষিপ্ত নৌ-পথ। এর গতিপথ মোটামুটি সরল। তবে  মাঝে মাঝে ভাঙন প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। আর প্রচুর পরিমাণ পলি পরার ফলে প্রায়ই চরের সৃষ্টি হয়। ফলে শুকনো মৌসুমে নৌ চলাচল বাধাগ্রস্থ হয়। খুলনা ঢাকার সংযোগকারী এই রুটের উপর মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ জেলায় বসবাসকারী জনগোষ্ঠীর অংশ বিশেষের নৌ চলাচল, ব্যবসা ও আর্থ সামাজিক জীবন নির্ভরশীল।